নিজস্ব প্রতিবেদক :
- উখিয়া গরুবাজারের রশিদ বই ব্যবহার হচ্ছে কুতুপালং বাজারে
- প্রশাসনের নজরদারি জরুরী
কুতুপালং প্রধান সড়ক ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কেন্দ্রীক সড়কগুলোর মোড়ে মোড়ে উখিয়া গরুবাজার ইজারার রশিদবই ব্যবহার করে প্রকাশ্যে চাদাঁবাজি চালাচ্ছে যুবদল নেতা কামাল উদ্দিন। একাধিক ভুক্তভোগী অভিযোগ তুলেন এই যুবদল নেতা কামালের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, কুতুপালং এর আশপাশে সরকারিভাবে বৈধ ডাককারী কোন গরু বাজার নেই। প্রধান সড়ক ও রাস্তার মোড়ে মোড়ে যুবদল নেতা কামালের সাঙ্গপাঙ্গরা অবৈধ রশিদ নিয়ে দাঁড়িয়ে যাতায়াত পথের মধ্যে খামারি ও গৃহপালিত গবাদি পশুর মালিকদের কাছে রশিদ/টুলের কাগজের তকমা দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। একটা গরুতে ২০০০/ টাকা মহিষ ২৫০০/ টাকা এভাবে দৈনিক শত শত গরু মহিষের মালিক যাতায়াত পথের মধ্যে চাদাঁবাজির শিকার হচ্ছে।
এক ভুক্তভোগী জানায়, গরুর রশিদ দিবে গরু বাজারে। তাও গরু বেচা বিক্রি হলে। টাকা দিয়ে রশিদ নিবে যে ব্যক্তি বাজার থেকে গরু কিনবে সেই। আমরা গরুর মালিক পক্ষ। বাড়িতে গরু লালন পালন করে মোটাতাজা হলে বিক্রি করতে বাজারে তুলি । গরু বাজারে না তুলার আগে কুতুপালং বাজার দিয়ে যাওয়ার পথে গাড়ি দাঁড় করিয়ে জোরপূর্বকভাবে রশিদ নিতে বাধ্য করাচ্ছে। রশিদ না নিলে হুমকিও দিচ্ছে যুবদল নেতা পরিচয় দিয়ে কামাল নামে এক ব্যক্তি । কুতুপালং তো আমরা গরু বেচাকিনা করছি না। আর কুতুপালং গরুর বাজার ও নেই। তারপরেও উখিয়া গরুবাজারের রশিদ বই কেন কুতুপালং বাজারে ব্যবহার হচ্ছে। সরকারিভাবে তো গরুবাজার আছে উখিয়াতে, এখন নতুন করে কুতুপালং এসব কি কান্ড শুরু হলো।
উপজেলা প্রশাসনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই আমরা যারা গরু ব্যবসায়ী আছি কুতুপালং পার হয়ে উখিয়া গরুবাজারে আসতে পারছি না। এই চাদাঁবাজি বন্ধে উপজেলা প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।
অনুসন্ধানে উঠে আসছে, কুতুপালং এলাকায় অধিকাংশ গরু মহিষ চোরাই কারবারির সিন্ডিকেট। মায়ানমার থেকে চোরাইপথে গরু-মহিষ এনে অবৈধভাবে রশিদ করানো হয় কুতুপালং বাজারে। এসবের মাস্টারমাইন্ড হিসাবে কাজ করে যুবদল নেতা কামাল উদ্দিন ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা । সীমান্ত বন্ধ হলে চোরাইগরু আনা কমে যায় ফলে এসব রশিদ বই দিয়ে খামারি ও গৃহপালিত গরু-মহিষ যাতায়াত করলে সেখানে চাদাঁবাজি করতে এসে ফাঁস হয় তাদের এসব অপকর্ম।
এ অনুসন্ধানে আরো উঠে এসেছে, যুবদল নেতা কামাল উদ্দিন নিজেও গরু-মহিষ চোরা কারবারির সদস্য। তাদের মাধ্যমে মায়ানমার থেকে আসা গরু মহিষ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাচার কাজে এসব অবৈধ রশিদবই ব্যবহার করতেন।
স্বৈরাচার সরকার পতনের পর এসব অবৈধ চোরাই কারবারি ও চাদাঁবাজির মধ্যে রাজত্ব কায়েম করছেন এই কামাল উদ্দিন।
অভিযুক্ত যুবদল নেতা কামালের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কামাল নামে অনেক ব্যক্তি থাকতে পারে। আমি কোন চাদাঁবাজিতে লিপ্ত নই।
কুতুপালং কোন গরু বাজার নেই বলে জানিয়েছেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর হোসেন।
তিনি প্রতিবেদককে বলেন, উখিয়া গরু বাজারের নাম দিয়ে কুতুপালং কোন ব্যাক্তি রশিদ ব্যবহার করতে পারবে না। কামাল নামে কোন ব্যাক্তি উখিয়া গরুবাজার ডাক নেয়নি। নুরুল আমিন দপা নামে এক ব্যাক্তি উখিয়া গরুবাজারের ইজারা ডাককারি। তিনি শুধুমাত্র উখিয়া যে গরুর হাট রয়েছে সেখানেই রশিদ বই ব্যবহার করতে পারবেন। কুতুপালংয়ে কোন এই রশিদ ব্যবহার করতে পারবেন না। উখিয়া গরুবাজারের রশিদ বই কুতুপালং কিভাবে ব্যবহার করছে সেটি খতিয়ে দেখা হবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-